নারীর অগ্রযাত্রা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধানের ১০ ও ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ’ এবং রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। প্রসূতি মায়েদের জন্য ছয় মাসের ছুটি এবং পিতার সাথে মাতার নাম লেখার নীতি প্রভৃতি সব আওয়ামী লীগেরই অবদান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্মের সব পরিসরে নারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।

 

লক্ষ্য ও পরিকল্পনা

  • ২০২০ সাল নাগাদ উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষায় নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত বর্তমানের ৭০ থেকে ১০০ শতাংশে বৃদ্ধি করা হবে। প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে নারীর অধিক সংখ্যায় নিয়োগের নীতি আরো বৃদ্ধি করা হবে।
  • নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে তাদের জন্য আলাদা ব্যাংকিং সুবিধা, ঋণ সুবিধা, কারিগরি সুবিধা ও সুপারিশসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
  • ‘জয়িতা’ ফাউন্ডেশন সম্প্রসারণের মাধ্যমে নারীদের সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ সম্প্রসারণ করা হবে।
  • নারীদের পুরুষের সমান মজুরীর নিশ্চয়তা দেয়া হবে এবং গ্রামীণ নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ও সকল ক্ষেত্রে নারীদের কর্মপরিবেশ উন্নত করা হবে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
  • সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চমৎকার ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে।