ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন

বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

  • ১১ মে ২০১৮ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস স্টেশন হতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করা হয়।
  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরিচালনার জন্য গাজীপুরে ‘সজীব ওয়াজেদ ল্যান্ডিং স্টেশন’ স্থাপন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে প্রায় শতভাগ নাগরিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। দেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৫.২৫ কোটি।
  • ৮,৫০০টি ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে
  • নারীর ক্ষমতায়নে টেলিটক কর্তৃক ১৫ লক্ষ মহিলার নিকট অপরাজিতা সিম বিতরণ করা হয়।
  • ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, কেমিক্যাল মেজারমেন্ট, খনিজ সম্পদ বিষয়ে গবেষণা ইত্যাদির জন্য ৪টি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে।

 

আই টি শিক্ষার প্রসার, সফটওয়ার শিল্পের প্রসার

  • যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক,’ ঢাকায় ‘জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, গাজীপুরে “বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি”, ‘সিলেট ইলেক্ট্রনি সিটি’ ও দেশের সাতটি স্থানে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টা’র স্থাপন করা হয়েছে।
  • বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৯০১টি ল্যাব স্থাপন করে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
  • ১৩টি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব এবং আইসিটি বিভাগে একটি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
  • শিক্ষক বাতায়নে শিক্ষামূলক দেড় লক্ষাধিক ডিজিটাল কনটেন্ট, কিশোর বাতায়নে ২০ হাজারেরও অধিক কনটেন্ট শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • ২,৬৪,৯৭১ জনকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮,৭৮৩ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

ইন্টারনেট সেবা

  • বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৩% লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ৪জি চালু করা হয়েছে; ৫জি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • বাংলাদেশ ২য় সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হয়েছে।
  • ৩,৬০০টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
  • দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) চালু করা হয়েছে। ১,১১০টি ইউনিয়ন পরিষদে এবং ৩৪০ টি উপজেলা পরিষদে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে মোট ১৬৯০০ কি. মি. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ

  • নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষে ৪৫ হাজারেরও বেশি অফিসের তথ্য সম্বলিত বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ৩৩৩ কলসেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
  • কৃষকরা খুব সহজে তথ্য পাওয়ার জন্য কৃষিবাতায়নে ৭৮ লক্ষ কৃষকের তথ্য, মাঠপর্যায়ে কর্মরত ১৮ হাজার কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ৫০৪টি উপজেলা কৃষির তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে।
  • ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে ১৮৪৩৪টি সররকারি অফিসকে একীভুত পাবলিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
  • সারাদেশে ৮০৪টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং ১০১৩টি বিদ্যুৎবিহীন ইউনিয়নে সৌর-বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার‘ স্থাপন করা হয়েছে।
  • সারাদেশে সকল ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৬ লক্ষ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ

  • মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪.৬ কোটি হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ পর্যন্ত ১৫.০৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
  • ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের মাত্র ৪০ লক্ষ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ পর্যন্ত ৮ কোটি ২ লক্ষে উন্নীত হয়েছে।
  • ২০০৮ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস, বর্তমানে দেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার ৬৭৩ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে।
  • সমগ্র বাংলাদেশের জেলা শহরগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৯% শহর ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
  • ২০১২ সালে থ্রিজি নেটওয়ার্কের উদ্বোধন। বর্তমানে দেশের সবগুলো জেলা শহরে টেলিটকের থ্রিজি সেবা চালু হয়েছে। ২০১৮ পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ৬ কোটি ৪৯ লক্ষ থ্রিজি গ্রাহক রয়েছে।
  • ২০১৮ তে ৪জি-এর বাণিজ্যিক সেবা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ঞ্জি নেটওয়ার্কের কভারেজ ৪৬%।
  • ৩টি দুর্গম পার্বত্য জেলার সব উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু এবং সুন্দরবনের মত দুর্গম স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২১,৫০০ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার অবকাঠামো রয়েছে। পূর্বে ছিল মাত্র ১৯০০ কি.মি.।
  • ঢাকা-কুয়াকাটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লিংকের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
  • টেলিটক ‘মায়ের হাসি’ প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের সরকারী বৃত্তি প্রদানের জন্য বিনামূল্যে ১০ লক্ষ সিম বিতরণ করেছে। টেলিটক ‘উচ্চমাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের’ আওতায় শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি প্রদানের জন্য বিনামূল্যে ১.৭৫ লক্ষ বর্ণমালা সিম বিতরণ।
  • বসেই এখন গ্রাহকরা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল প্রদান করতে পারবেন।
  • বর্তমানে ২৩,৩৩১টি মাধ্যমিক, ১৫,০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
  • আদালতের কার্যক্রম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল মোবাইল কোর্ট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে ৪১,৪৩১টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে।
  • প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকসহ সারাদেশব্যাপী ৩২৫ মিলিয়নের অধিক নাগরিক এটুআই এর ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত উন্নয়ন